“বেনীমাধব”
-রাখী চক্রবর্তী
বেনীমাধব কবেই গেছে
স্কুল ঘরটা ছেড়ে,
কালো বোর্ডে আজও আবছা লেখা
“বেনীমাধব কবে আসবি আমার ঘরে”
সখী তোর প্রাণের সখী
অবুঝ আজও আছে,
রক্ত গোলাপ ফুটিয়ে ছেঁড়ে
ভয় পাস তুই পাছে।
বেনীমাধব বেনীমাধব,
বুলবুলিদের ধান খাওয়া হয় না আর দেখা,
আকাশ ফুঁড়ে রক্ত লাশ
দেখি, ফিরছে একা একা।
বেনীমাধব,
বন্দি তোর স্বপ্নগুলো নীরবে কাঁদে,
তারার ভিড়ে চাঁদের দেশে
ওরা একলা একলা হাঁটে।
বেনীমাধব,
তোকে নিয়ে আজকাল লিখছে অনেক কবি,
জ্যোৎস্না রাতে খাতা কলমে
তুই আমার হোবি।
বেনীমাধব,
শিউলি ফুলের সুবাস এখনও কি তুই পাস,
আমার খোঁপায় শিউলি গাঁথা
বাড়িয়ে দে তোর দুহাত।
বেনীমাধব,
অল্পস্বল্প গাল গপ্পো কর
নদীর মাঝে চর দেখে,
এখনও কি তোর বুক করে ধড়ফড়।
বেনীমাধব বেনীমাধব
গণ্যমান্যরা মুখে এঁটেছে কুলুপ,
নারী হত্যায় শত মিছিল
পুরুষ হত্যায় সব চুপ।
বেনীমাধব
সুনামী আমার চোখে, সমুদ্রগুলো শান্ত
আড়িভাবের খেলা সাঙ্গ হবে
তা কি মন জানতো।
বেনীমাধব
আমার ঘরে আলো জ্বলে না
আলোর বাতি নিভিয়ে দিল
অঘোষিত চিতার কান্না।
বেনীমাধব বেনীমাধব,
ঐ আকাশে তুই সাজা বাসর ঘর
আমি আসছি শিগগিরি
আমার ভীষণ কালাজ্ব।